শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর অন্যতম।প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় দেশে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেসরকারি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সংখ্যা এবং মান দুটোই যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়।দেশের প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারে এসব স্কুলের অবদান অনস্বীকার্য।।কিন্ডার গার্টেন স্কুলকে এদেশের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রদূত বলা হয়ে থাকে।
সরাইল উপজেলার প্রাক-প্রাথমিক অথবা কিন্ডার গার্টেন গুলোও শিক্ষা উন্নয়নে ব্যপক অবদান রেখে যাচ্ছে। শিক্ষাকে আরো তরান্বিত করতে, এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন কিন্ডার গার্টেন শিক্ষা প্রতিষ্টানগুলো। এরই প্রেক্ষিতে সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর, শাহজাদাপুর এবং নোয়াগাও ইউনিয়নের বিভিন্ন কিন্ডার গার্টেনের ৫৩ জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধা-বৃত্তি ২০২৩ প্রদান করেছে কিন্ডার গার্টেন উন্নয়ন সংস্থা সরাইল-ব্রাহ্মণবাড়িয়া)।
এতে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি ২৭ জন এবং সাধারণ বৃত্তি পেয়েছেন ২৬ জন শিক্ষার্থী। গতকাল ০৫/০৭/২০২৪ ইং তারিখ রোজ শুক্রবার শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে মেধা-বৃত্তি পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।
উক্ত মেধা-বৃত্তি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পৃষ্টপোষকতা করেন,জনাব নুরে আলম সিদ্দীকি ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নিইগাস ও প্রতিষ্টাতা হলিচাইল্ড কিন্ডার গার্টেন। জনাব স্বদেশ চন্দ্র দেবনাথ পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক,কিন্ডার গার্টেন উন্নয়ন সংস্থা ব্রাহ্মণবাড়িয়া। জনাব নূরুন নাহার বেগম সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়। বেলায়েত হোসেন মিল্লাদ সভাপতি বাংলাদেশ কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশন সরাইল উপজেলা। জনাব ইঞ্জিঃ আরিফুল ইসলাম মুকুল সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশন সরাইল উপজেলা। পৃষ্টপোষকতা করা সকলেই এধরণের আয়োজনে সম্পৃক্ত হতে পেরে খুবই আনন্দিত হয়েছেন।ভবিষ্যতেও শিক্ষা নিয়ে এধরণের কর্মকাণ্ডতে সুযোগ হলেই তারা সম্পৃক্ত থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জনাব মোঃশাহেদ মিয়া বাবুল সভাপতি শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়। তিনি বলেন কোমলবতী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাতে গভীরভাবে আগ্রহী করে তুলতে মেধা-বৃত্তি অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রেষণা রাখে।শিক্ষাকে শিশুদের মাঝে আনন্দের সাথে আগ্রহী করতে তুলতে কিন্ডার গার্টেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক বড় ভূমিকা রাখছে।শিক্ষাকে আরো তরান্বিত করতে ধনী গরিব ভেদাবেদকে পাশ কাটিয়ে
সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এক সাথে।আমি বর্তমানে শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে রয়েছি।যখনই সুযোগ হয় আমার পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু করার তখনই আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করি।টাকার অভাবে যেন কোমলবতী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা আটকে না যায় আমি সেদিক থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। উক্ত আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মোহাম্মদ আলী।উনি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর জন্য করণীয় দিক তুলে ধরেছেন সেই সাথে অবিভাবকেরকেও সন্তানের প্রতি যত্নসহকারে পরিচর্যা করে গড়ে তুলার কৌশল বাতলে দিয়েছেন।
সঞ্চালনায় ছিলেন ইকরা কিন্ডার গার্টেন এর প্রতিষ্টাতা পরিচালক ও শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী শিক্ষক জনাব আবু সাদেক।
তিনি সিটিবুলেটিনকে বলেন দেশের শিশুদের শিক্ষার মান উন্নত করতে চাইলে শিশুদের শুরু থেকেই পরিচরর্যা করতে হবে।ছোট থেকে সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে শিশুরা শিক্ষা ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নতি লাভ করবে।আমি শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী শিক্ষক।আমার শিক্ষকতা সময় কালে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাতে অনাগ্রহী হবার কারণ হিসেবে বুঝতে পেরেছি যে কোমলবতী শিশুদের শুরু থেকেই যত্ন সহকারে পাঠদান না দেওয়ার অভাব।তাই আমি শিক্ষকতা জীবন শেষে এলাকার কোমলবতী শিশুদেরকে সঠিকভাবে পাঠদান দেওয়ার জন্য নিজেই একটা কিন্ডার গার্টেন প্রতিষ্টা করেছি।
এখানে শিক্ষকরা শতভাগ সৎ পরিশ্রম আর অনেক যত্ন ও আদর স্নেহ সহকারে পাঠদান দিয়ে থাকেন।যাতে করে বড় হয়েও পড়াশোনায় শিক্ষার্থীরা আরো আগ্রহী হয়ে উঠে আনন্দের সাথে।
রাইজিং সান একাডেমি শাহবাজপুর এর পরিচালক ফজলে রাব্বি বলেন কিন্ডার গার্টেন গুলি শিশুর সামাজিক বিকাশ, শারীরিক বিকাশ, মানসিক বিকাশ, এবং জ্ঞানীয় বিকাশের উপর সমানভাবে ফোকাস করে অন্যান্য শিশু যত্ন থেকে নিজেদের আলাদা করে।তাই এদিক দিয়ে সরকারের পৃষ্টপোষকতা পেলে শিশুরা আরো দ্রুত এগিয়ে যাবে।
তিতাস মডেল কিন্ডার গার্টেনের প্রতিষ্টাতা ও পরিচালক শহীদুজ্জামান রানা সিটিবুলেটিনকে জানান বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষার বড় একটি যায়গা জুরে রয়েছে কিন্ডার গার্টেন শিক্ষা।শিক্ষার ধরণ ও মান এবং পাঠদানের পরিবেশ সব কিছু মিলে এর গ্রহণযোগ্যতা শিক্ষা উন্নয়নে অনেক ভূমিকা রাখছে।
মেধা-বৃত্তি পেয়ে উচ্ছ্বাসিত শিশু শিক্ষার্থীরা।সেই সাথে আনন্দিত শিক্ষার্থীদের মা বাবারাও। মোজাম্মেল হক সোহেল নামের এক অবিভাবক সিটিবুলেটিন কে বলেন আমরা ছাত্র জীবনে কোন ধরণের পুরস্কার পেলে অনেক আনন্দতি হতাম।আজ বাবা হিসাবে সন্তানের এমন সাফল্য দেখে আমি অনেক গর্বিত।
সন্তানদেরকে আমি আদর্শ ও নৈতিকতার সাথে গড়ে তুলতে চাই।বড় হয়ে যেন দেশ ও জাতীর সেবা করতে পারে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ সহ বিভিন্না কিন্ডার গার্টেনের প্রতিষ্টাতা, পরিচালক ও শিক্ষার্থীদের অবিভাবকের উপস্থিতি তে এ আয়োজন সুন্দর ভাবে পরিচালিত হয়েছে।