ঘন কুয়াশা ও বর্ষা মৌসুমে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ১০ কিলোমিটার দেখা যায় এমন উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ফগ অ্যান্ড সার্চ লাইট কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। চার সদস্যের প্রি শিপমেন্ট ইনসপেকশন (পিএসআই) কমিটিও গঠন করা হয়। তারা বিদেশ সফরও করেন। দেন পিএসআই প্রতিবেদনও।
কিন্তু তারা চারজন শুধু ভ্রমণের উদ্দেশেই আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়াতে গিয়েছেন। গ্রীষ্মকালে খোলা মাঠে রোদের মধ্যে ফগলাইট পরীক্ষা করেছেন! তাদের মতামতের কারণে সার্চ অ্যান্ড ফগ লাইটের পরিবর্তে সার্চ লাইট শিপমেন্ট হয়েছে। এতে কুয়াশা ভেদ করে সামনের জিনিস দেখতে পারার লাইট কেনার আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে।দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক তদন্ত প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। এ ঘটনায় আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়।
পরিচালক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) ওমর আলী সার্চ লাইটকে ফগ লাইট দেখিয়ে স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী মালামাল সরবরাহ না করে এবং দরপত্রের সঙ্গে মিথ্যা প্রত্যয়নপত্র সঠিক বলে দাখিল করে অপরাধ করেছেন। এভাবে তারা সরকারের ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
সাতজনের নামে গত ১২ মে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক সিলভিয়া ফেরদৌস। ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি তাদের নামে মামলা দায়ের করেছিলেন সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান।