সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোগো লাগানো বিলাস বহুল (এসইউভি) পাজেরো গাড়িটি টেকনাফ হয়ে মেরিন ড্রাইভ পার হচ্ছিল। সোমবার (২০ মে) দিবাগত রাতে ওই গাড়িতে করেই পাচার হচ্ছিল ৭ লাখ ইয়াবা। পাচারকালে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়ন সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভের পাটুয়ারটেক এলাকা থেকে আটক হয় গাড়িটি।
র্যাব-১৫ এর অভিযানে এসময় গ্রেপ্তার করা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আত্মসমর্পণ করা ইয়াবা কারবারি আবদুল আমিনকে (৪০) । সঙ্গে ছিলেন তার আরও ৩ সহযোগী- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু সৈয়দ এর পুত্র মো. আবদুল্লাহ (৩৫), তার ভগ্নিপতি নুরুল আবসার (২৮) ও জাফর আলম (২৬)।
সোমবার (২০ মে) দুপুরে কক্সবাজারের র্যাব-১৫ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপঅধিনায়ক মেজর শরিফুল আহসান জানান, আটক আবদুল্লাহর বাবা আবু সৈয়দের মালিকানাধীন বিলাসবহুল গাড়িটিতে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর এর লোগো লাগানো ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিতেই ইয়াবা কারবারিরা এই পন্থা অবলম্বন করেছিল।
শরিফুল আহসান বলেন, মিয়ানমার থেকে ইয়াবাগুলো বাংলাদেশ সরবরাহ করছিল মিয়ানমারের বাসিন্দা রোহিঙ্গা সিরাজ। এই সিরাজের মাধ্যমেই বেশীর ভাগ ইয়াবা টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন বাংলাদেশের মাদক কারবারিরা।
র্যাবের এই কর্মকর্তা অনুমান করে বলেন, জব্দকৃত ইয়াবার বাজার মূল্য ৩ কোটি টাকারও অধিক।