৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ
শিরোনাম

থানায় নিয়ে ছাত্রলীগ নেতার হাত ভেঙে দিল পুলিশ

মনিরাম উপজেলা প্রতিনিধি | citybuletin.com
প্রকাশ: ০২৪৪ ঘণ্টা, শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪


থানায় নিয়ে ছাত্রলীগ নেতার হাত ভেঙে দিল পুলিশ - রাজনীতি

ঈদের রাতে এমডি বিল্লালুর রহমান নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় ধরে এনে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মনিরামপুর পুলিশের বিরুদ্ধে।

 

বিল্লালুর রহমান গাজীপুর সরকারি কলেজ থেকে সদ্য মাস্টার্স শেষ করেছেন। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। ওই রাতে ইকবাল হোসেন নামের আরো এক যুবলীগ নেতাকেও ধরে এনে মারপিট করা হয়। যশোরের মনিরামপুর থানায় সদ্য যোগদানকারি ওসি (তদন্ত) পলাশ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য ছবি সম্বলিত লেখার উপর কালি লেপটে দেয়ায় অভিযোগ তুলে সন্দেহভাজন ভাবে বাড়ি থেকে থানায় ধরে আনা হয় তাদের। এমডি বিল্লালুর রহমান উপজেলার গোপালপুর গ্রামের নূর আলীর ছেলে এবং ইকবাল হোসেন মাছনা গ্রামের তরিকুল ইসলাম ছেলে।

 

মারধরের শিকার বিল্লালুর রহমানের মা খাদিজা বেগম কান্না জড়ি কন্ঠে বলেন, ঈদের রাতে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুলিশ বড় ছেলেকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। সাথে সাথে তারাও থানায় চলে আসেন। কি অপরাধে ছেলেকে ধরে আনা হয়েছে জানতে চাইলে পুলিশ তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। ওই রাত থেকে পরদিন সকাল অবধি তারা থানার গোলঘরে ছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ছেলের জন্য খাবার আনতে বাড়িতে যান। ফিরে এসে দেখতে পান হাত-পা ব্যান্ডেজ করা অবস্থায় পুলিশের গাড়ি থেকে ছেলে বেলালুর কে নামানো হচ্ছে। এসময় পুলিশের কাছে জানতে চাইলে, তাদেরকে জানানো হয় তার ছেলের পেট খারাপ করায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখতে পান তার ছেলেকে মারধর করে হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। তিনি এঘটনার জন্য পুলিশের বিচার দাবী করেছেন।

 

মারধরের শিকার যুবলীগ নেতা ইকবাল হোসেনের বাবা তরিকুল ইসলাম বলেন, কে বা কারা সাবেক প্রতিমন্ত্রীর ছবিতে কালি লেপটে দিয়েছে। যার দায়ভার ছেলের উপর চাপিয়ে ঈদের রাতে বাড়ি থেকে থানায় তুলে এনে মারধর করে পুলিশ।

 

থানায় গিয়ে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে মারধরের শিকার এমডি বিল্লালুর রহমানের কথা হয়। তিনি জানান, থানার ওসি (তদন্ত) পলাশ বিশ্বাস হকিষ্টিক দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করেছে।

 

এ ব্যাপারে মনিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) পলাশ বিশ্বাস মারধরের কথা অস্বীকার বলেন, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট একজন সম্মানিত ব্যক্তির ছবি ও লেখার উপর কালি দেয়ার অভিযোগে তাদেরকে ধরে আনা হয়েছে।

 

এ ব্যাপারে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা: অনুপ কুমার বসু বলেন, প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে বিল্লালুর রহমানের বাম হাত ভেঙ্গে গিয়েছে। তবে এক্স-রে রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

 

মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, আটক দু’জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

সিটিবুলেটিন.কমে প্রকাশিত যে কোনও প্রতিবেদন, ছবি, লেখা, রেখাচিত্র, ভিডিও-অডিও ক্লিপ অনুমতি ছাড়া অন্য কোনও মাধ্যমে প্রকাশ, প্রচার করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।
আপনার মন্তব্য
এই বিভাগের সর্বোচ্চ পঠিত