সিট বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার হাই কোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছে।
সেইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ও আইন বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও দিয়েছে আদালত। বুয়েট উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রাব্বীর পক্ষে ওই রিট করেছিলেন ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ। তিনিসহ অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জরুল হক সোমবার রাব্বীর পক্ষে শুনানি করেন।
আইনজীবী হারুন বলেন, পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেনের হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট করা হয়। ওই রিটে হলে সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিতের নির্দেশনা দিয়ে আদালত বলছে, ঘটনার বিষয়ে বুয়েটের গঠিত তদন্ত কমিটির কার্যক্রম চলমান থাকবে।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরার ফাহাদকে রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনায় ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বুয়েট। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বুয়েটে নিষিদ্ধ হয় ছাত্র রাজনীতি।
এরপর থেকে গত সাড়ে চার বছর প্রকৌশল শিক্ষার এই বিদ্যাপীঠে ছাত্র সংগঠনগুলোর রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধই ছিল। এর মধ্যেই ২৮ মার্চ গভীর রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ একদল নেতাকর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে নতুন করে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতাদের সমাগম ঘটানোর কারণ হিসেবে পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের হলের সিট বাতিল করা হয়। এরপর বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ফেরানোর দাবিতে পাল্টা কর্মসূচি দেয় ছাত্রলীগ।
বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে গত ১ এপ্রিলে রাব্বীর দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি করে পর হাই কোর্ট বুয়েটে রাজনীতি নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করে। তাতে প্রকৌশল শিক্ষার এই বিদ্যাপীঠে ছাত্র রাজনীতি ফেরার পথ খোলে।
তবে শিক্ষার্থীরা ছাত্র রাজনীতি বন্ধে আইনি লড়াইয়ের কথা বলেছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করেন তারা।