বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১ হাজার ১৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে কেবল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) গ্রেপ্তার করেছে ৭৮৩ জনকে। শুনানি নিয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ নিয়ে গত তিন দিনে শুধু ডিএমপি বিএনপির ১ হাজার ১১৭ নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
ঢাকার আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পল্টন থানার একটি মামলায় বিএনপির ১৭৮ নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। এ ছাড়া সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও ২০৯ নেতা–কর্মীকে। এ ছাড়া শাহবাগ থানা ২ জনকে, রমনা থানা ১ জনকে, পল্টন থানা ৪৫ জনকে, শাহজাহানপুর থানা ২৩ জনকে, যাত্রাবাড়ী থানা ৬০ জনকে, ডেমরা থানা ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর বাইরে ওয়ারী ও গেন্ডারিয়া থানা ৩৬ জনকে, কদমতলী থানা ৯ জনকে, শ্যামপুর থানা ২১ জনকে, উত্তরা পশ্চিম থানা ৩ জনকে, ধানমন্ডি ও হাজারীবাগ থানা ১৪ জনকে; হাতিরঝিল, তেজগাঁও ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা ৬৩ জনকে, কোতোয়ালি ও বংশাল থানা ১৬ জনকে, লালবাগ, চকবাজার ও কামরাঙ্গীরচর থানা ১৫ জনকে; বাড্ডা ও ভাটারা থানা ১৫ জনকে, দারুসসালাম ও শাহআলী থানা ২৫ জনকে, মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানা ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে।
বিএনপির কয়েকজন নেতার আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের একের পর এক নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আরেক আইনজীবী ইলতুৎমিশ সওদাগর প্রথম আলোকে বলেন, সমাবেশের আগের দিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির নেতা–কর্মীদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।